কক্সবাজার, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওতে মহিলা মেম্বারের নেতৃত্বে স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে জখম, অবস্থা আশংকাজনক

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে বহুল আলোচিত বহু মামলার আসামী ঈদগাহ ইউপির মহিলা মেম্বার নুর জাহান বেগম প্রকাশ হ্নীলা মেম্বারের নেতৃত্বে স্কুল শিক্ষক মাহমুদুল হককে নির্মমভাবে পিটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ মহিলা মেম্বারের আস্তানা থেকে মুমুর্ষ অবস্থায় মাহমুদুল হককে উদ্দ্বার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। মাহমুদুল হক ঈদগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হাজ্বী ছৈয়দ আলমের ছেলে এবং ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের সহকারি শিক্ষক। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত আহতের অবস্থা আশংকাজনক। আহতের স্বজনদের মতে, মাহমুদুল হক ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় হ্নীলা মেম্বার তার ছেলে শাহেদুল ইসলাম ও বোরহান উদ্দিনসহ ৬/৭জন সন্ত্রাসী পিছনদিক থেকে মুখ চেপে ধরে তাদের আস্তানায় নিয়ে গিয়ে লোহার রড, হাতুড়ি ও কাঠের বাঠ দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে মারা গেছে মনে করে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে আহতের চাচা আব্দুল হক মসজিদ থেকে গিয়ে উদ্দ্বার করতে গেলে তাকেও মারধর করলে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌঁড়ে পালিয়ে এসে স্বজনদেরকে

মাহমুদুল হককে মেরে ফেলে রাখার কথা জানায়।তিনিও বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকাবাসীর মতে, ফজরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হলে তারা শুনতে পান মাহমুদুল হককে মেরে ফেলে রেখেছে মহিলা মেম্বার ও তার ছেলেরা। পরে স্বজনরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে উদ্দ্বার করে। এব্যপারে মহিলা মেম্বার নুরজাহান জানায়, বিরুধীয় জমি নিয়ে উভয় পক্ষে মারামারি হয়েছে এবং তার ছেলে মেয়েরাও আহত হয়েছে। তবে মাহমুদুল হককে যেভাবে মেরেছে তা আইয়্যেমে জাহেলিয়া যুগকেও হারমানিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সুষ্ট তদন্তপূর্বক বহু অপকর্মের হোতা বর্মাইয়া হ্নীলা মেম্বার ও তার ছেলেদের যথোপযুক্ত শাস্থির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

পাঠকের মতামত: